ত্রিপুরায় পশু বলির উপর নিষেধাজ্ঞা

ত্রিপুরায় পশু বলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ত্রিপুরা হাইকোর্ট।

- Advertisement -

ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি অরিন্দম লোধের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

- Advertisement -google news follower

জানা যায়, কয়েক বছর আগে ত্রিপুরার রাজবাড়িতে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের এক অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ সুভাষ ভট্টাচার্য। তিনি নবমী পুজার দিন দুর্গামন্দিরে মহিষ বলি দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি তিন বছর ধরে হিন্দু শাস্ত্রের নানাদিক খতিয়ে দেখেন। এরপর পশু বলি বন্ধের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন হাইকোর্টে।

তিনদিন ধরে একটানা এমামলার শুনানি চলার পর আদালত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মন্দিরে পশু বলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

- Advertisement -islamibank

তবে সরকারের পক্ষে রাজ্যের আইনজীবী অরুণ কান্তি ভৌমিক পশু বলি বন্ধের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, শত শত বছর ধরে এপ্রথা চলে আসছে। তা ছাড়া ভারত ভাগের পর ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরার রাজারা যখন ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যুক্ত হন, তখন ত্রিপুরার সব মন্দিরের পূজা এবং বলির খরচ ত্রিপুরা সরকারের বহন করার চুক্তি হয়। সেইভাবে চলে আসছে অতীতের এই প্রথা।

অপরদিকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বেদ-উপনিষদ কোথায়ও লেখা নেই যে পশু বলি বন্ধ হলে হিন্দু ধর্ম পালনে বাধা তৈরি হবে। আর মন্দিরগুলোতে সরকারি খরচে বলি দিতে হবে, এই দাবির সপক্ষে কোনো দলিলপত্র পেশ করতে পারেনি সরকার পক্ষ।

দুইপক্ষের শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের যুক্তি খারিজ করে জানান, পশু বলির অধিকার সংবিধানের ২৫ ধারা অনুযায়ী ধর্মের অধিকারের আওতায় আসে না। এখন থেকে রাজ্যের কোনো মন্দিরে সরকার বা কোনো ব্যক্তি পশু বা পাখি বলি দিতে পারবেন না।

জয়নিউজ/বিআর
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM