চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির আশার প্রতীক, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রপ্রতীক।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহ আমানত (র:) মাজার সংলগ্ন মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। যুব জনতা সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। দায়িত্ব গ্রহণের পর নানান দুর্যোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে তিনি স্থিতিশীল অন্তভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে চালাতে শুরু করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে আলোকবর্তিকা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর নানান দুর্যোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে চালাতে শুরু করেন। এই পথযাত্রায় যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে যুব সমাজকে যেকোন ধরনের অপকর্ম, সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর হোসেন বলেন, যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির পিতা, তার ভিত্তি তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল মান্নান ফেরদৌস বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া ও ক্যাসিনোসহ যেকোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে জিরোটলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুব সমাজের কেউ এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে মুজিব রনাঙ্গনের সৈনিকদের সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যুব জনতা সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ও দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. চন্দন তালুকদার।
এছাড়াও নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান সাজু, মীর আবদুর রহমান মামুন, অলিদ চৌধুরী, অ্যাড. মাহবুবুর রহমান, দিদারুল আলম দিদার, শ্রী প্রকাশ দাশ অসিত, ফরিদ আহমদ, হেলাল উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল মান্নান, মাসুদ আকবরী, আকতার হামিদ, জাহেদুল আলম শিপন, পেয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, এস এম নাসির উদ্দিন, মিল্টন বড়ুয়া, ইসতেখার উদ্দিন পারভেজ, জমির উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন মামুন, ফজলে হাসান চৌধুরী, আবদুল হামিদ নয়ন, মাহবুব মোর্শেদ বিপুল, মোস্তফা কামাল টিপু, জয়নাল আবেদীন, কফিল উদ্দিন বকুল, ওসমান ফারুক বিবলু, সাহেদ শরিফ, হুমায়ুন কবির হিরু, মো. নওশাদ, শামসুদ্দীন মানিক, বাবুল দাশ তনয়, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত, মকসুদ আলী, হেলাল উদ্দিন, ফয়সাল বাপ্পী, অ্যাড. আকতারুজ্জামান রুমেল, অ্যাড. মঞ্জুরুল আজম চৌধুরী ও মিনহাজ মাহমুদ রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।