সড়কে শৃঙ্খল ফেরানোর পাশাপাশি নগরকে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলমুক্ত করতে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নগরজুড়ে এ অভিযান চালানো হয়।
সপ্তাহজুড়ে বিশেষ অভিযানে কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ। নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল পেলেই ঠুকে দেওয়া হয়েছে মামলা, নেওয়া হয়েছে জরিমানা। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, অভিযানে থাকা কিছু পুলিশের মোটরসাইকেলই ছিল নম্বরবিহীন!
নগরের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে জয়নিউজে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে- খোদ অভিযানে থাকা পুলিশের মোটরসাইকেল নম্বরবিহীন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে সরেজমিন নগরের টাইগারপাসে যায় জয়নিউজ।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরের টাইগারপাস মোড়ে চলছিল পুলিশের বিশেষ অভিযান। পুলিশ বক্সের পাশেই রাখা ছিল দুটি মোটরসাইকেল। গাড়ি দুটির কোনো নম্বর ছিল না। এর একটিতে লেখা ছিল ‘সিএমপি পুলিশ’। আর অন্যটিতে লেখা ছিল ‘সিএমপি ১৩০’।
একই অবস্থা দেখা যায় আগ্রাবাদে ট্রাফিক বিভাগের কার্যালয়ের নিচে। সেখানেও ছিল বেশ কয়েকটি অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল।
এদিকে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সচেতন মহলে। সুমন নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশ এখন খুব সিরিয়াস। পান থেকে চুন খসলেই মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে মামলা করে দিচ্ছে। আর সেই পুলিশ সদস্যরাই খোদ ঘুরে বেড়াচ্ছেন নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে। এখন প্রশ্ন, দেশে কি পুলিশের জন্য আলাদা আইন করা হয়েছে। নাকি পুলিশ আইনের উর্ধ্বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার জন্য, শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য পুলিশের এ অভিযানকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয়। কিন্তু সবাইকে শৃঙ্খলায় ফেরানোর দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাই যদি শৃঙ্খল না হয় তবে সেই অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। কিছু পুলিশ সদস্যের জন্য এমন একটি অভিযান প্রশ্নের মুখে পড়ুক এটি কারো কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান জয়নিউজকে বলেন, নম্বরবিহীন গাড়ি চালানোর সুযোগ নেই। তিনি পুলিশ হোন কিংবা অন্য কেউ। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
জয়নিউজ