দেশব্যাপী জুয়া-ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার। চলমান এ অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। এতে ক্ষেপে যান চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি।
অভিযানের পরপরই মিডিয়ায় জুয়া নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেন হুইপ সামশু। এমনকি অভিযান নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেটি ভাইরাল হয়।
আবার এই বির্তকের রেশ না কাটতেই আগুনে ঘি ঢালে হুইপপুত্রের অস্ত্রের মহড়া এবং আওয়ামী লীগ নেতাকে অশ্লিল ভাষায় হুইপপুত্রের ফোনালাপ। এ দুটি ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলে।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে বাপ-বেটার শোডাউন
এদিকে চট্টগ্রামের রাজনীতির সর্বমহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রে হুইপ সামশুল। ক্যাসিনো-জুয়া বির্তক ছাড়িয়ে এখন তিনি আলোচনায় তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে। হকার থেকে জীবন শুরু করা এই রাজনীতিবিদ জাতীয় পার্টি ও বিএনপি হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এ নিয়েও সমানে আলোচনা চলছে রাজনীতির মাঠ থেকে রাজপথে।
চলমান এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কী ভাবছেন- তা জানতে জয়নিউজ কথা বলে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে।
এরমধ্যে জামালখানের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির জুয়া নিয়ে এমন বক্তব্যে সচেতনসমাজ মর্মাহত হয়েছে। জনপ্রতিনিধি যদি এমন বক্তব্য দেন তাহলে সমাজ থেকে কিভাবে জুয়া-মাদক নির্মূল হবে।
আরও পড়ুন: হুইপপুত্রের অস্ত্রের মহড়া (ভিডিওসহ)
আজিম কবির নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের সমাজে প্রচলিত সংবিধানে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। অথচ একজন আইন প্রণেতা কথা বলছে জুয়া খেলার পক্ষে। এটা আমাদের সমাজের জন্য অশনিসংকেত।
ইকবাল আহমেদ নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে জুয়া-মাদকের বিরুদ্ধে লড়ছেন, সেখানে তার দলের একজন জুয়ার পক্ষ নিচ্ছেন। সরকারের ভালো কাজগুলো নষ্ট করতে এরাই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: এবার সেই পরিদর্শকের নামে মামলা করলেন হুইপ
জয়নাল আকবর নামে এক শিক্ষক বলেন, একজন সংসদ সদস্য কিভাবে জুয়ার পক্ষ নিলেন? আগে এদের নির্মূল করতে হবে। তারপর দেশ থেকে জুয়া-মাদক নির্মূল হবে।
সাইদ বিন হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জুয়া হচ্ছে যুবসমাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র। একজন সংসদ সদস্য কিভাবে সেই জুয়ার পক্ষে কথা বলেন? আগে এসব নেতাদের আইনের আওয়তায় আনা হোক।