বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। ভারত বাংলাদেশকে শুধু সামরিক সহযোগিতাই করেনি এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর খুব দ্রুত সময়ে ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলো। তাই জন্মলগ্ন থেকে ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।
অনেকদিন আগে থেকেই ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বেশকিছু সুযোগ সুবিধা চালু করেছে। তবে বিষয়গুলো প্রচার না থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধারাও বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত নন। ভারতীয় দূতাবাস-ঢাকার আয়োজনে আয়োজিত প্রথম রিজিউনাল কর্মশালায় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য চারটি বিশেষ স্কিম চালু করেছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ, মেডিকেল স্কিম, বিজয় দিবস উদযাপন ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ বছরের ভিসা।
এব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাস চট্টগ্রামের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, প্রতিবছর আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও এইচএসসি পড়–য়া শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ স্কিম রয়েছে। মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ভারত সরকার স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রতি বছর ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে ভারত সরকার। ভারতের দিল্লী ও পুনে সামরিক হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ ভারত সরকার বহন করে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে একজন এটেনডেন্টও যেতে পারে। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হয়।
এছাড়াও দুই দেশে বর্ণিল আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের কলকাতায় উদযাপন করা হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ থেকে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে উদযাপন করা হয় একই অনুষ্ঠান। এতে ২৭ জন ভারতীয় যোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ভিসারও ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ বছর মেয়াদি ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান অনিন্দ্য ব্যানার্জী।
জয়নিউজ/পিডি