রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় পুকুর জলাশয় ভরাট করে চলছে বাণ্যিজিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ। এতে করে রাউজানে কমছে দিনকে দিন কমছে পুকুর-জলাশয়ের সংখ্যা। ফলে শুষ্ক মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ফকির হাট বাজারের পশ্চিম পাশে বিশাল একটি পুকুর ছিল । পুকুরের পানি এলাকার লোকজন ব্যবহার করতো । পুকুরটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ডিউ বিজি শপিং মার্কেট, তাহের প্লাজা, বর্তমানে নির্মাণ করা হচ্ছে রাউজান সিটি সেন্টার নামে বহুতল বাণ্যিজিক ভবন। এছাড়া রাউজান উপজেলা ডাকঘরের পশ্চিম পাশে, দাশ পাড়া, দাইয়্যার ঘাটাসহ বেশকিছু এলাকায় পুকুর ভরাট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাইন্যাপুকুর কুলাল পাড়া এলাকায় একটি শত বছরের পুরানো পুকুর ভরাট করে করা হয়েছে আবাসিক ভবন। পাহাড়তলী চৌমুহনী এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকটি বাণ্যিজিক ভবন। নোয়াপাড়ার পথের হাটে বেশ কয়েকটি জায়গায় পুকুর ভরাট করে হয়েছে ভবন।
ডাবুয়ার আমির চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শত বছরের পুরানো পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে আল শরীফাইন ফিউচার পার্ক নামের একটি বহুতল ভবন।
এভাবে পুকুর জলাশয় ভরাট করা বেআইনী হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুকুর জলাশয় ভরাট করে চলেছে ভবন নির্মাণ।
রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান পশ্চিম ডাবুয়া আমির চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পাশে শত বছরের পুরাতন পুকুর ভরাট করে বহুতল বিশিষ্ট বাণ্যিজিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিন রাউজানে একের পর এক পুকুর জলাশয় ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। এতে করে শুষ্ক মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন পুকুর জলাশয় ভরাট করা সম্পুর্ণ বেআইনী। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করার পুর্বে পুকুর জলাশয় ভরাট করে বাণ্যিজিক ভবন ও আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজ করা হয়েছে । আমির হাটে ও পুকুর ভরাট করে বহুতল বাণ্যিজিক ভবন নির্মাণও আগে থেকে শুরু করা হয়েছে । তবে আমির হাটে পুকুর ভরাট করে বাণ্যিজিক ভবন নির্মাণ করার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জয়নিউজ/পিডি