নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই। একদলীয়ভাবে দেশ শাসন করছে সরকার। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের চেয়ে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে বেশী ব্যস্ত এ সরকার। পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার কারণে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত আজ পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশের স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে মাঠে এস্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাহাদাত বলেন, টিংকু দাশের ত্যাগ দল আজীবন স্মরণ রাখবে। ছাত্রদল থেকে উঠে আসা মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশ দলের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। ছাত্রদলের হাত ধরেই রাজনীতি শুরু করেন। দলের প্রতি তার ভালবাসা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও রাজনৈতিক মেধাকে দলের কাজে বলীয়ান করে এগিয়ে গেছেন। দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনি কাজ করতে গিয়ে গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। তাই টিংকু দাশের ত্যাগ দল আজীবন স্মরণ রাখবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, টিংকু দাশ শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া ছাত্রদলের একজন মেধাবী দক্ষ সংগঠক, ত্যাগী, সাহসী ও বিনয়ী, ছাত্রনেতা ছিল। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার সাহসী নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতায় খুব অল্প সময়ে চট্টগ্রামসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার কর্ম আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হাজার হাজার তরুণ ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, টিংকু দাশ হঠাৎ করে আমাদের ছেড়ে যাবে আজ তার শোক সভায় আমি বক্তব্য রাখব তা কখনো কল্পনাও করিনি। রাজনীতিতে একজন টিংকু দাশ তৈরি হতে অনেক সময় লাগবে। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ও দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে টিংকু দাশের খুবই প্রয়োজন ছিল।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, টিংকু দাশ ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক থাকাকালীন তার দলের প্রতি অকৃত্রিম
ভালবাসা ও ত্যাগের মাধ্যমে তার নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল এবং সকলের কাছে প্রশংসিত ছিল। তার মেধা ও শ্রম দিয়েই দলের প্রতিটি মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির সহসভাপতি এমএ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, ইকবাল চৌধুরী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, আরইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, সিহাব উদ্দিন মুবিন,মনোয়ারা বেগম মনি, হামিদ হোসেন, এইচ এম রাশেদ খান, হাজী নুরুল আক্তার, মনজুর রহমান চৌধুরী, আবদুল হালিম স্বপন, সালউদ্দিন কায়সার লাবু, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, ডা. লুসী খান, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুছা, আবদুল হাই, আলী আজম, জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, ইউসুফ সিকদার, আলী ইউসুফ, জাকির হোসেন, বুলবুল আহমদ, এসএম মফিজ উল্লাহ, হাজী নবাব খান, আবদুল্লাহ আল সগির, এস এম ফরিদুল আলম, মো. বেলাল. মো. আজম উদ্দিন, রাসেল পারভেজ সুজন, হাজী আবু ফয়েজ, মামুন আলম, মনিরুজ্জামন টিটু, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম ডিউক, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, মনিরুজ্জামান মুরাদ, আলাউদ্দিন, তানভীর মল্লিক, মো. নওশাদ, মেছবাহ উদ্দিন মিন্টু, সালাউদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন।