অবশেষে বান্দরবানে চালু হলো পাহাড়ে উৎপাদিত চা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ‘চা’ কারখানা।
উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়ায় এ কারখানার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে এ কারখানার উদ্বোধন করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চা বোর্ডের সচিব কুল প্রদীপ চাকমা, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল হাসান ইমরান পিএসসি, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. জহিরুল ইসলাম খান, চা বোর্ডের সদস্য ইরফান শরিফ, বান্দরবান চা বাগান মালিক সমিতির সভাপতি মংক্য চিং চৌধুরী, দৈনিক সচিত্র মৈত্রী পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক মো. ওসমান গনি, বান্দরবান চা বোর্ডের কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ চা চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বান্দরবানের পাহাড়ে উৎপাদিত চা পাতা অর্গানিক চা এর ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। সার ও কীটনাশকমুক্ত উন্নত জাতের চা’র বিশ্বব্যাপী কদর রয়েছে। তাই অর্গানিক চা হিসেবে বান্দরবানের চা একটি ব্র্যান্ডিং।
স্থানীয় চাষীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা চা কারখানা চালু হওয়ায় এই অঞ্চলের চা শিল্পের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। চা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল পর্যায়ের ক্ষুদ্র চা চাষীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
চা বোর্ড সূত্রমতে, ২০০২ সালে প্রকাশিত জরিপে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে ২৫,২২০ হেক্টর, খাগড়াছড়িতে ১৪,৯৩৪ হেক্টর এবং রাঙামাটিতে ৬,৭২৫ হেক্টর জায়গায় ক্ষুদ্রায়নে চা আবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০০৪ সালে ক্ষুদ্রায়তনে চা চাষ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিলেও নানা সমস্যায় ২০০৫ সালের জুন থেকে মাঠ পর্যায়ে নার্সারী স্থাপনের কাজ শুরু হয়। চা উৎপাদন শুরু হয় ২০০৮ সালে। বান্দরবান জেলায় ৩’শ হেক্টর জমিতে চা চাষ করা হলেও বর্তমানে মাত্র ৭০ হেক্টর জমিতে চা উৎপাদন হচ্ছে। জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার কেজি কাঁচা পাতা উৎপাদন হচ্ছে। কারখানাটি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে চালু থাকবে এবং ঘণ্টায় কাঁচা পাতা থেকে ১৮০ থেকে ২০০ কেজি চা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। কাঁচা পাতা সরবরাহ যদি বেশি থাকে তাহলে প্রতিদিন উৎপাদন আরও বাড়বে।