ব্যবসার জন্য রয়েছে আইন। প্রশাসন চায় ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করুক। বাজার অস্থিতিশীল করে জনগণকে জিম্মি করে কেউ যদি অধিক লাভের আশায় ব্যবসা করলে তাদের আইনের কাটগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিররীজি।
মঙ্গলবার ( ১ অক্টোবর)জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি, চট্টগ্রাম চেম্বার ও ক্যাবের নেতাদের সঙ্গে পেঁয়াজের বাজার নিয়ে আলোচনা সভায় উপরোক্ত এ মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেটএম শরিফ হোসেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা ব্যবসা করুন। তা অবশ্যই আইন মেনে করতে হবে। জনগণকে জিম্মি করে অধিক লাভের আশা করে ব্যবসা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যেভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দেন সেভাবেই তারা বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত করে প্রশাসনকে জানান, চট্টগ্রামে কোনো পেঁয়াজ আমদানিকারক নেই। দেশের পেঁয়াজের আমদানিকারকরা মূলত হিলি, সোনা মসজিদ, যশোর ও বেনাপোলের বাসিন্দা। মূলত ওইসব আমদানিকারকরাই পেঁয়াজের মূল্য যা নির্ধারণ করে দেন সে দামেই খাতুনগঞ্জে বিক্রি করা হয়।
দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের যোগান ছিল। হঠ্যাৎ করে গত মাসের ৩০ তারিখের পর কি করে পেঁয়াজের এত দাম বাড়ল, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর ব্যবসায়ীরা দিতে পারেন নাই।
অনুষ্ঠানে ক্যাবের চট্টগ্রাম সভাপতি এম নাজের হোসাইন প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
ইতোমধ্যে মায়ানমার, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে জাহাজযোগে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ইনভয়েজ দেখে কাস্টমের সঙ্গে বসে মূল্য নির্ধারণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দীন।
সভায় খাতুনগঞ্জ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মায়ানমারের পেঁয়াজের ইনভয়েজ কেজি ৪২ টাকা, আমদানি খরচ মিলিয়ে ৫০-৫৫ টাকা বিক্রি করলে ও ব্যবসায়ীরা অনেক টাকা লাভ করতে পারতেন। সেই পেঁয়াজ কি করে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হয় তার ও প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জয়নিউজ/গিয়াস/বিআর