চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তিনটি হলের বরাদ্দকৃত সিটে উঠার জন্য বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারীরা। তবে তারা নিজেদের ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ বলে দাবি করে।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়ে চারটার পরে শেষ হয়। এতে সোহরাওয়ার্দী হল, এফ রহমান হল ও আলাওল হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। তবে বরাদ্দ করা হয়নি এমন শিক্ষার্থীদেরও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, বরাদ্দের মাধ্যমে তারা সিট পেলেও সেখানে হলে অন্যরা থাকে। যদিও বছর শেষে সিটের ফি দিতে হচ্ছে তাদের।
তাদের দাবি, গত একমাস থেকে তাদের বরাদ্দকৃত সিট নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বলে আসছে তারা। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে তাদের বরাদ্দকৃত সিটে থাকতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র বলেন, বিগত ১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী, আলাওল, এবং এফ রহমান হলে সন্ত্রাসীরা বৈধ শিক্ষার্থীদের রুম ভাঙচুর করে তাদের বের করে দেয়। এ ব্যাপারে আমরা প্রসাশনের কাছে দাবি জানালেও প্রসাশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রসাশন আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বিক্ষোভের বিষয়টি স্বীকার করলেও আন্দোলনকারীদের সাধারণ শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলও। সাংবাদিকদের বলেন, হলে বৈধ সিট আছে কিন্তু একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কারণে উঠতে পারছে না এমন শিক্ষার্থীরাই আন্দোলন করছে।
কারা বাঁধা দিচ্ছে এ ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানে। আমি উপাচার্য ম্যামের কাছে যাচ্ছি। তিনি বিষয়টা সমাধান করবেন।
এবিষয়ে বিশ্ববদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, তারা একটা লিস্ট দিয়েছে সেটা আমরা যাচাই বাছাই করে দেখছি। তারপর আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিব।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসির কর্মীদের সঙ্গে বিজয় গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে৷ পরদিন শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস অচল করে অবরোধ করে বিজয়। সোহরাওয়ার্দী হলের রুম দখল নিয়েই ঘটেছিল ওই সংঘর্ষ। সবশেষ হলটি বিজয়ের দখলেই থেকে যায়। এরপর থেকে হলে উঠতে পারছিল না সিএফসির কর্মীরা।