দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালনের বার্তা নিয়ে এবার ঘোড়ায় চড়ে কৈলাস ছেড়ে মর্তে এসেছেন দেবী দুর্গা। শারদোৎসবে দেবীর আগমনী সুর এখন বাজছে প্রতিটি ভক্তের হৃদয়ে। দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হবে বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পঞ্চমীতে দেবীর বোধন শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) হবে ষষ্ঠীপূজা।
বোধন শব্দের অর্থ চৈতন্যপ্রাপ্ত বা জাগরণ। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অন্যতম আচার। সাধারণত শুক্লাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন হয়ে থাকে। তবে এবার তিথি অনুযায়ী পঞ্চমীতেই বোধন হবে। পুরাণ অনুসারে, শরৎকালে ভগবান রামচন্দ্র দুর্গাপূজা করেন রাক্ষসরাজ রাবণকে বধের উদ্দেশ্যে। তখন তিনি অকালে বোধন করেন বলে এটিকে অকালবোধনও বলা হয়ে থাকে।
নগরের প্রতিটি মণ্ডপে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মূলত অকালবোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে-মন্দিরে সন্ধ্যায় করা হবে বন্দনাপূজা। আর এই পূজার পরেই শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ষষ্ঠী তিথি থেকে তীর-ধনুক, চক্র-গদা, খড়গ-কৃপাণ, কল্যাণ ও ত্রিশুল হাতে শক্তিরূপী দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধে স্থান নেবেন মণ্ডপে-মন্দিরে। দশহস্তে অস্ত্রে সজ্জিত ত্রিনয়ণী দেবী দুর্গার অতল স্নিগ্ধ চোখের পলক খুলে যাবে ও জেগে উঠবেন দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দশভূজা দেবী দুর্গা।
চট্টেশ্বরী কালী বাড়ির সেবায়েত দেবু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী জয়নিউজকে বলেন, তিথি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গা পূজার মূল যে আনুষ্ঠানিকতা সেটি শুরু হবে।
জয়নিউজ/পার্থ/পিডি