হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুরে এসেছেন নিউইয়র্কের নারী শ্যারুন খান (৪০)। স্বামী আশরাফ উদ্দিনকে (২৬) সঙ্গে করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে তার ফরিদপুর আসা।
প্রেমের টানে গত বছরের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারুন। এরপর ওই বছরের ১০ এপ্রিল ঢাকায় একটি কাজি অফিসে আশরাফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
প্রায় দেড় বছর পর বুধবার (১ অক্টোবর ২০১৯) তাদের বউভাতের অনুষ্ঠান হয়। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বামীকে নিউইয়র্কে নিতে বাংলাদেশে আসেন শ্যারুন।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের মো. আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে আশরাফ উদ্দিন। তিনি (আশরাফ) ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় আশরাফ। তার বাবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গাড়িচালক পদে কর্মরত।
শ্যারুন খান আমেরিকান মুসলিম। তিনি নিউইয়র্কে একটি ব্যাংকে কর্মরত বলে জানিয়েছেন। তার বাবা সলেমান খান ও মা এলিজা খান। দুই বোনের মধ্যে শ্যারুন বড়।
আশরাফ জানান, শ্যারুনের সঙ্গে তার পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তারপর এক সময় তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
আশরাফ বলেন, ওর মধ্যে কোনো জটিলতা, সন্দেহ বা অবিশ্বাসের ছায়া দেখিনি। আসলে জীবনে বাঁচতে হলে শান্তিটাই মুখ্য, বয়স বেশি না কম কিংবা দেখতে ভালো না খারাপ, সেটা বিচার্য কোনো বিষয় নয়।
শ্যারুন কেন বাংলাদেশে আশরাফকে বিয়ে করতে ছুটে আসলেন- এমন প্রশ্নে মার্কিন এই নারী বলেন, আমেরিকা খুব ব্যস্ত। সেখানে কেউ কারও কোনো খবর নেয় না। এমনকি নিকটাত্মীয়ও না। কিন্তু পরিচয়ের পর থেকে আশরাফ সব সময় তার খোঁজখবর নিতেন। তিনি খেয়েছেন কি-না, শরীর কেমন আছে- এসব জানতে চাইতেন। আশরাফের এমন আচরণে তিনি আপ্লুত হয়েছেন।
শ্যারুনের ভাষ্য, প্রেম বা বিয়ে যা-ই বলা হোক না কেন, এর মূল ভিত্তি হচ্ছে ‘কেয়ারিং’।
শ্যারুন জানান, এবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন মূলত স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আশরাফের জন্য ভিসা পেতে যত দিন লাগে, তত দিনই তিনি এখানে থাকবেন।
আশরাফের মা নার্গিস আক্তার বলেন, এমন বউ পেয়ে আমি এত খুশি, তা বলার নয়। শ্যারুন আমাকে আম্মু বলে যে ডাকটি দেয়, তাতে আমি গর্ব অনুভব করি।