সকাল ১০টা। উপজেলা পরিষদ থেকে লঞ্চ ঘাটের দুইশ’ মিটার পথের দু’ধারে দাঁড়ানো চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। তাদের সবার হাতে ফুলের পাপড়ি। আবার লঞ্চঘাটে উপস্থিত জোন অধিনায়ক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা।
না, কোনো মন্ত্রী-এমপির জন্য এ অপেক্ষা নয়। এ অপেক্ষা জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন কাবাডি খেলোয়াড়দের জন্য।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিডবোট থেকে ট্রফি হাতে নামে লাল-সবুজ পোশাক পড়া খেলোয়াড়রা। আর তাদের একেক করে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিজয়ীদের বরণ করতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে জুরাছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিজয়ীরা জুরাছড়িতে পৌঁছামাত্র সহস্র জনতা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান । পরে তাদের উপজেলা মিনা মাঠে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সংবর্ধনা দেওয়া হয় জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক গান প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া পানছড়ি ভুবন জয় সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রজ্ঞা চাকমাকে।
ইউএনও মো. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জোন অধিনায়ক লেফ. কর্নেল মো. মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলপনা চাকমা, জুরাছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুল হাই, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমা ও রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো. মোরশেদুল আলম।
পরে উপজেলা প্রশাসন, জোন অধিনায়ক, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৪৮তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় গত ২ অক্টোবর ঢাকা অঞ্চলের দলকে ১৯-১৭ পয়েন্টে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ভুবন জয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। এর আগে তারা ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
জয়নিউজ