ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমান। সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ক্যাসিনোর টাকার ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত। মূলত নোয়াখালীর আরমানের মাধ্যমেই ক্যাসিনো জগতে প্রবেশ ঘটে সম্রাটের। ক্যাসিনো কারবারে আরমানকে গুরু বলে মানতেন সম্রাট।
একসময় আরমান সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় লাগেজ আনার ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। পরবর্তী সময়ে সম্রাটকে এই লাভজনক কারবারের ধারণা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন ক্যাসিনো সম্রাট
এছাড়া আরমান চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। সম্প্রতি জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রেখে দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তিনি লগ্নি করেছেন কয়েক কোটি টাকা। নিজেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খোলেন। ‘দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রোডাকশন হাউসের প্রধান কর্ণধার আরমান।
গত ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া শাকিব খান ও বুবলী অভিনীত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ সিনেমাটির প্রযোজক আরমান। এটি আরমানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ফিল্ম। এরপর শাকিব খানের বিপরীতে নবাগতা এক নায়িকাকে নিয়ে ‘আগুন’ নামের দ্বিতীয় ফিল্মের কাজও শুরু হয় আরমানের প্রযোজনায়।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা সম্রাট গ্রেপ্তার
এর আগে রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপরই ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন।