মহাষ্টমীই শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। দেবীর সন্ধিপূজা এবং কুমারীপূজার মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
পঞ্জিকা মতে, রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর মহাষ্টমীবিহিত পূজা, মহাষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ (পঞ্চম কল্প) ও কেবল মহাষ্টমীকল্পে (ষষ্ঠ কল্প) পূজা প্রশস্তা অনুষ্ঠিত হবে।
আর সকাল ১০টা ৩১ মিনিট থেকে সন্ধিপূজা শুরু করে সকাল ১১টা ১৯ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা শেষ করতে হবে। একইদিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের পর দেওয়া যাবে বলি। এই সময়ের পরই মূলত কালিকা দেব্যাবির্ভাব, মহিষমর্দিনী দেব্যাবির্ভাবের মহারাত্রি নিমিত্তানুষ্ঠান ও কুমারীপূজা আরম্ভ হবে।
সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারীপূজার লক্ষ্য। আজ সকালে নির্দিষ্ট কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হবে। ফুলের মালা, চন্দন ও নানান অলংকার-প্রসাধন উপাচারে নিপুণ সাজে সাজানো হবে কুমারীকে।
কুমারীপূজা সম্পর্কে হিন্দুদের বৃহদ্ধর্মপুরাণে বলা হয়েছে, রাম-রাবণের যুদ্ধে রামকে জেতাতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর একযোগে নেমে পড়েছেন। তখন শরত্কাল, দক্ষিণায়ন। দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই ব্রহ্মা দেবীকে স্মরণ করলেন। দেবী কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে (বেল গাছ) দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চন বর্ণা বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন স্তবে তাকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারণ করলেন। তন্ত্রসার মতে, এক থেকে ষোলো বছর পর্যন্ত বালিকারা কুমারীপূজার উপযুক্ত। তাদের অবশ্যই ঋতুমতি হওয়া চলবে না।