সদ্য বহিস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর আমি এগুলো শুনেছি। এর আগে কিছুই জানতাম না। পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশন দেখে আমি জানতে পেরেছি। সম্রাট খুব ভালো মানুষ, দলে তার বেশ জনপ্রিয়তা।
তিনি বলেন, ‘অভিযানের পর থেকে আমিও নজরদারিতে ছিলাম। সে ক্যাসিনো কিংবা অন্য কিছুতে জড়িত ছিলেন কিনা তাও আমরা জানতাম না।’
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে সম্রাটের বাসায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুবলীগ থেকে সম্রাট বহিষ্কার
এরপর তাকে নিয়েই রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলে সম্রাটের শান্তিনগর ও মহাখালীর বাসাতেও।
বিকেলে অভিযানের সময় সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরীসহ তার মেয়ে সেখানে ছিলেন। তবে অন্য কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের শারমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের ১৯ বছরের সংসার। আমার স্বামী কখনও চাননি- অবৈধ টাকা দিয়ে সংসার চলুক। কখনও অবৈধ টাকা তিনি সংসারে দেননি। দুই বছর ধরে আমরা আলাদা থাকছি। তবে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। এই বাসাতে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে থাকতাম।
আরও পড়ুন: লাগেজ ব্যবসা থেকে ক্যাসিনো, সম্রাটের সহযোগী কে এই আরমান?
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সম্রাটের স্ত্রী বলেন, দলে তার বড় ভাই আছে। তবে সেটা কারা এটা জানি না। কিন্তু সবার সঙ্গে সে ভালো ব্যবহার করে। সবার সঙ্গে ওর একটা ভালো বন্ডিং আছে।
‘জি কে শামীমকে আমি চিনি না তবে খালেদকে চিনি। আমি মাঝে মাঝে অফিসে (কাকরাইলে) যেতাম। আমি তাদের দেখতাম, অতটুকুই।’
এদিকে অভিযানের পর র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্রাটের মহাখালী বাসায় কিছু পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন ক্যাসিনো সম্রাট
এর আগে রোববার ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে আরমান। পরে তাদের দু’জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।