চট্টগ্রাম নগরে জীববৈচিত্র্য সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন।
রোববার (৬ অক্টোবর) জীববৈচিত্র্য সার্ভে এবং সংরক্ষণ, শুলকবহর ওয়ার্ডের পাইলট প্রকল্প -২০১৮ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নগরপিতা এ ঘোষণা দেন।
নগরপিতা নাছির বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাই জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সে হিসেবে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় চসিকের দায়বদ্ধতা আছে। তাই নগরের সব ওয়ার্ডের জীববৈচিত্র্যের জরিপ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে চসিক। এজন্য নগরে একটি জীববৈচিত্র্য সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)কনফারেন্স হলে এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে বায়োডাইভারসিটি রিচার্স গ্রুপ অব বাংলাদেশের (বিআরজিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.বদরুল আমিন ভূইয়া পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের জরিপ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ( চবি) বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসাইন এবং প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাঈল মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআরজিবির সদস্য প্রফেসর নোমান আহমদ সিদ্দিকী, ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী বিজ্ঞানী ড.শহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের উম্মে হাবিবা রীমা, কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ এবং চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম।
এর আগে বিআরজিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.বদরুল আমিন ভুঁইয়া বলেন, শুলকবহর ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২০১৮ সালে ৮ অক্টোবর চসিকের সঙ্গে বিআরজিবির এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির পর থেকে জীববৈচিত্র্য সার্ভে এবং কনজারভেশন কাজ শুরু করে বিআরজিবি। সম্প্রতি এই জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। এই জরিপ কাজে শুলকবহর ওয়ার্ডে ৭৯০টি প্রজাতি চিহ্নিত করে বিআরজিবি। এর মধ্যে ২২টি অনুজীব,৩৯০টি উদ্ভিদ ও ৩৭০ টি প্রাণী রয়েছে। এছাড়া গৃহপালিত ৪ জাতের মুরগি, ৩ জাতের হাঁস, কয়েক জাতের কোয়েল, ৪ জাতের গবাদি পশু এবং ৩ জাতের ছাগল এই ওয়ার্ডে পাওয়া গেছে।
এই সার্ভেতে বিআরজিবির বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আমিন উদ্দিন মৃধা, প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল মিয়া, প্রফেসর ড. মো. কামাল হোসাইন, প্রফেসর নোমান আহমদ সিদ্দিকী, ড. শেখ আবদুল মান্নান, ড.শহিদুর রহমান, সন্তোষ মজুমদার, উম্মে হাবিবা রীমা, আকতার হোসেন, ড. এমএ খালেকসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম কলেজের ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জয়নিউজ/হিমেল