আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় যারা মারধর করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।
তিনি বলেন, রাতে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এরপর আমি শুনেছি, কয়েকজন মিলে তাকে (আবরার) মারধর করেছে। যারা মরধর করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ভাবাও খুব কষ্টের। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সানি বলেন, এখানে ছাত্রলীগের ছেলে হিসেবে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।