প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাসহ সকলকে স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পটি এ শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহরে বসবাসরত বৃহৎ দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে স্বল্পআয়ের দেশ থেকে একটি মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত করা সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ শহরে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’টি বাস্তবায়ন করছে। ইউএনডিপি’র আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের শহরে দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে সুষম ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ১২টি সিটি করপোরেশন ও ২৪টি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বসবাসকারী নিম্নআয়ের ৪০ লাখ লোকের জীবনমান ও জীবযাত্রা উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওরিয়েন্টেশনে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. পীযুষ দত্ত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর পরিচালক সৈয়দ কামরুল আনোয়ার, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নীতা চাকমা, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছোটন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোলাম মোরশেদ, চসিক মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার মো. আবুল কাশেমসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।