সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালানো তুরস্কের সঙ্গে কুর্দি গেরিলাদের মধ্যস্থতায় আগ্রহ দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
কুর্দি ওয়াইপিজি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটির ফোর্সেসের (এসডিএফ) নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারার ‘এ অপারেশনে পিস স্প্রিং’য়ে দুই শতাধিক লোক নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সীমান্তবর্তী শহরগুলোর ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তুরস্ক ওই এলাকায় কুর্দিবিরোধী অভিযানের কথা ঘোষণা করে।
এদিকে মিত্রদের এভাবে ‘ঝুঁকির মুখে ফেলায়’ দেশে-বিদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রভাবশালী রিপাবলিকানরাও এ সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করছেন। এর মাধ্যমে ট্রাম্প সিরিয়ায় রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের প্রভাব বাড়ানোর সুযোগ করে দিলেন বলেও মত তাদের।
তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে দাবি করে আসছেন। আঙ্কারা ‘সীমা ছাড়ালে’ তাদের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দেয়ারও হুঁশিয়ারি আছে তার।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক টুইটে তিনি বলেছেন, “আমাদের হাতে তিনটি বিকল্প আছে: হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়ে সামরিকভাবে জয়ী হওয়া, অর্থনৈতিকভাবে তুরস্কের ওপর বড় ধরণের আঘাত হানা ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কিংবা তুর্কি ও কুর্দিদের মধ্যে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করা।”
এছাড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক বিধিনিষেধের তুলনায় তুরস্কের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোর অবস্থানই নিতে যাচ্ছে বলেও আশ্বস্ত করেছেন ।
জয়নিউজ/পিডি