বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১টা। নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজার আমতল মোড়। পশ্চিম পাশে অপর্ণাচরণ স্কুলের পাশে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে আছে বহদ্দারহাটগামী কয়েকটি টেম্পু। যাত্রী উঠানো নিয়ে যারা রীতিমতো প্রতিযোগিতায় মত্ত।
এদিকে ওই টেম্পুগুলো এলোমেলোভাবে রাস্তা দখল করায় পেছেনে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি যানবাহন। এ কারণে লেগে গেছে যানজট। অথচ মোড়েই কর্মরত আছেন ট্রাফিক পুলিশ। যানজট হলেও সেদিকে তাঁর খেয়াল নেই।
নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় কোতোয়ালিতেও দেখা গেল যানজটের চিত্র। কোতোয়ালি থানার মোড়ের সামনে রাস্তার উপর পার্কিং করা আছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। কোতোয়ালি থানার সামনিই ট্রাফিক বক্স, অথচ সেই মোড় ঘিরেই যানজট!
লালদীঘির দিকে যাওয়ার পথে কোতোয়ালি মোড়ের সিডিএ ভবনের সামনে যাত্রীর প্রতীক্ষায় অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে আছে বাস, টেম্পু ও হিউমার হলার। হিউমান হলারগুলো এমনভাবে রাস্তায় দাঁড়ায় যাতে আরেকটি হিউমান হলার তাকে ক্রস করে যেতে পারে না। যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ এটি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে আন্দরকিল্লা মোড়েও দেখা গেল যানজট। এ সড়কের চারদিক দখল করে আছে ৬০-৭০ জন ভ্রাম্যমাণ হকার। এসব হকারের কেউ দখল করে আছে সড়ক, আবার কেউ ফুটপাত। আবার সড়কের যত্রতত্র পার্কিং করা আছে কার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল। এতে রাস্তা আরও ছোট হয়ে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। অথচ অথচ মোড়েই কর্মরত আছেন ট্রাফিক পুলিশ!
নগরের গুরুত্বপূর্ণ জিইসি মোড়েও প্রায় সময় থাকে যানজট। এখানে যানজটের প্রধান কারণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে গণপরিবহনের যাত্রী উঠা-নামা করানো। এই মোড়ে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ থাকে, আবারও যানজটও নিয়মিত।
নগরের ওয়াসার মোড়ে যানজটে আটকে পড়েছেন রিকশাযাত্রী গৃহিণী জেসমিন আক্তার। চার বছরের মেয়েকে নিয়ে তিনি কুসুমবাগ যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আমার বাসা লালখানবাজার থেকে কুসুমবাগের দূরত্ব দুই কিলোমিটারের চেয়েও কম। অথচ সামান্য এই দূরত্ব অতিক্রম করতেই প্রায়সময় আধঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। ট্রাফিক পুলিশ থাকার পরও কেন যানজট হয় তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।
নগরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকার পরও কেন যানজট হয় জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমদ খান জয়নিউজকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ চেষ্টা করছে নগরের প্রতিটি মোড়ের যানবাহনকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে। এজন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি চালকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, রিকশা ও অটেরিকশা চালকদের বেশিরভাগই অশিক্ষত। তারা মোড়গুলোতে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও নেই। আবার একটির পেছনে আরেকটি বাস আড়াআড়িভাবে দাঁড়ায়। এতে পেছনের গাড়ি আটকে যায়। বাস স্টপেজগুলো মোড় থেকে একটু দূরে সরিয়ে নিতে হবে। সেখানেই যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জয়নিউজ