তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনে কোনো আবর্জনা থাকবে না। অচিরেই দলে ছাঁকনি দিয়ে সব আবর্জনা ফেলে দেওয়া হবে। কেবল ত্যাগীদের নেতৃত্বের মাধ্যমেই দলকে এগিয়ে নেওয়া হবে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রামু স্টেডিয়ামে মিলাদ মাহফিল ও মেজবান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগের চেয়ে দেশের উন্নয়নের তুলনা এখন যে কেউই করতে পারবে। ১০ বছর আগে যেখানে সাঁকো দিয়ে পার হতে হতো, সেখানে এখন পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কক্সবাজার-রামুতে এমপি কমলের নেতৃত্বেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আগামীতে এমপি কমলের হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংসদ জাফর আলম, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকারের অর্জিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন কোনো উইপোকা খেয়ে না ফেলে সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে কেউ ছিল না। আর এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায় সবাই। পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এখন সবাই আওয়ামী লীগ হতে চায়। সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। যেসব অনুপ্রবেশকারী ইতোমধ্যেই ঢুকেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দলের হাইকমান্ড।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে, তাই মাদক নির্মূলে দলের সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের কারণে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায়। দল আমাদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছে। কিছু মানুষের কারণে আমাদের দলের দুর্নাম হতে পারে না। তাই এ ব্যাপারে দলের সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এক সময় যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো, তারা নানাভাবে পদ-পদবি পেয়েছে। এ আবর্জনা সম্মেলনের আগেই পরিষ্কার করতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই পদ-পদবির দাবিদার। এজন্য ত্যাগী, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ।
কক্সবাজার হিল ঢাউন সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। বক্তব্য রাখেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান।