বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা আজ রোববার (১৩ অক্টোবর)। ধর্মীয় নানা আচার ও অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উৎসবটি উদযাপন করবে। প্রবারণা পূর্ণিমার সন্ধ্যায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা আকাশে ফানুস উড়ায়। এর উদ্দেশ্য, আকাশে ভাসমান গৌতম বুদ্ধের কেশরাজিকে বন্দনা করা।
বৌদ্ধধর্ম মতে, এ পুণ্যময় আশ্বিন পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানব জাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তার ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ প্রদান করেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।
পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস ধরে দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে শুরু হবে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে নগরের সকল বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্ট উপসথ শীল গ্রহণ, মহাসংঘদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা, ফানুস ওড়ানো ও বুদ্ধকীর্তন।
এদিকে প্রবারণার উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ফানুস উড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে সিএমপি। ফানুস উড়ানো যাবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০ টা র্পযন্ত। পাশাপাশি বৌদ্ধদের এ ধর্মীয় উৎসবকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিএমপি।
জয়নিউজ/পার্থ/পিডি