ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের সড়ক। সড়কের উভয় পাশে দখল করে নির্ভিগ্নে ব্যবসা করছে স্ক্র্যাপ জাহাজের লোহার ব্যবসায়ীরা। রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড় করে উঠা-নামা করে স্ক্র্যাপ মালামাল। ফলে প্রতিদিন সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড থেকে বারৈঢালা পর্যন্ত যানজট।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দখলদার মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বার আউলিয়া থেকে ভাটিয়ারি পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালান।
এসময় মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকানপাট, রাস্তার পাশে রাখা পুরাতন স্ক্র্যাপ জাহাজ ভাঙা মালামাল উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়াও মহাসড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে রাখা জাহাজের বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদেরকে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল জয়নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যবসায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ মহাসড়কে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল। কিছু ব্যবসায়ী মহাসড়কের ফুটপাটে বিভিন্ন মালামাল রেখে দখল করার কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং জনসাধারণের চলাচলে ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ীদের দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান করে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।