দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে এখন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। কে হচ্ছেন দলের পরবর্তী সভাপতি ও সম্পাদক? এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানালেন, দলে সবসময় যারা কর্মীদের পাশে ছিলেন, তারাই যেনো দলের মূল দায়িত্বে আসবেন এটাই তাদের প্রত্যাশা।
ইতোমধ্যে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসুইছাইন চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌ. থোয়াইচিং মং মারমা এবং উপজেলা আ’লীগ সদস্য নুরউল্লাহ ভূঁইয়া।
সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল এবং উপজেলা আ’লীগের সদস্য আক্তার হোসেন মিলন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, ছাত্র রাজনীতি থেকে দলে সবসময় নেতাকর্মীদের পাশেই ছিলাম। জেলা পরিষদের সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়েও সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি দল গঠনে সবসময় নেতাকর্মীদের পাশেই ছিলাম।
বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. থোয়াই চিং মারমা বলেন, আমি সবসময় জনগণের রাজনীতি করে আসছি দলের নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম এবং থাকবো।
সভাপতি পদে আরেক প্রার্থী নুরউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছি। পরবর্তীতে আমি চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আ’লীগের সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। এ দীর্ঘ সময় সর্বদা দলের সুখে দুঃখে ছিলাম আছি।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বেবি জানান, ছাত্রলীগ দিয়েই আমার রাজনীতি শুরু পর্যায়ক্রমে উপজেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করে আমি আওয়ামী লীগের কমিটিতে নিজের যোগ্যতায় স্থান করে নিয়েছি। তাই দল এবং নেতাকর্মীরা যদি মনে করে আমি যোগ্য তাহলে তাদের সম্মানকে মাথা পেতে নেব।
আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল জানান, ছাত্রলীগের মাধ্যমেই আমার রাজনীতি শুরু। তবে ১৯৯৫ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে কাপ্তাইয়ে রাজনীতি শুরু করি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যদি সম্পাদক হিসাবে আমাকে চায়, নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে দলকে এগিয়ে নিব।
আক্তার হোসেন মিলন বলেন, ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে কর্ণফুলী কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১২ সাল হতে অদ্যাবধি উপজেলা আ’লীগের সদস্য হিসাবে দলের সুখে দুঃখে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত সময়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আগামী কাউন্সিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে সম্পাদক হিসাবে মনোনীত করলে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে সে দায়িত্ব পালন করব।
দীর্ঘ ৭ বছর পর কাপ্তাই উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে চিৎমরম ইউনিয়ন ও চন্দ্রঘোনা আ’লীগের সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। উপজেলা সম্মেলনের আগে অপর ইউনিয়নগুলোর সম্মেলন শেষে আগামী ২৮ অক্টোবর উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে রাঙ্গামাটির সাংসদ সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাকবেন।
জয়নিউজ/লাভলু/পিডি