হালদা নদীতে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন করার সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এসময় হালদা থেকে উত্তোলন করা বালুও জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নদীমপুর ইন্দিরাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ।
জোনায়েদ কবির সোহাগ জয়নিউজকে বলেন, একমাস পূর্বে ইন্দিরাঘাট এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন করার সময়ে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ধংস করা হয়েছিল। সোমবার দুপুরে একই এলাকায় বালু উত্তোলন করার সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধ্বংস করেছি।
হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য হালদা নদীতে কোনো বালুমহল ইজারা দেয়নি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। হালদা নদীতে মা মাছ রক্ষায় বালু উত্তোলন ও জাল ও বড়শী দিয়ে মাছ শিকারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।
হালদা নদীতে বালুমহল ইজারা না দিলেও রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাঘাট, গহিরা কোতেয়ালি ঘোনা, পশ্চিম গহিরা বদুর ঘোনা, পশ্চিম বিনাজুরী, সিপাহির ঘাট, কাগতিয়া কাসেম নগর, গোলজার পাড়া, অজিমের ঘাট, মগদাই সুইস গেটের মুখ, পশ্চিম আবুর খীল, খলিফার ঘোনা, সার্কদা, মোকামী পাড়া, কচুখাইন, হাটহাজারীর আমতোয়া, গড়দুয়ারা, মেখল, মাদরাসা, চট্টগ্রাম নগরীর মোহরা এলাকায় প্রতিদিন ড্রেজার ও পাওয়ার পাম্প বসিয়ে ও নদীতে ডুব দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
হালদা নদীতে ড্রেজার ও পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় হালদা নদীতে মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানান তিনি।