প্রেম করে বিয়ে করার সাধ অপূরণই থেকে গেল মো. সানি (১৯) নামে এক প্রেমিক কিশোরের। বিয়ের পরিবর্তে তার ভাগ্যে জুটেছে এক সপ্তাহের কারাদণ্ড।
সোমবার ( ১৪ অক্টোবর)রাতে পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া মাজার গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সানি চন্দনাইশের দোহাজারী এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। তার প্রেমিকা তানজিনা ইসলাম (১৯) একই উপজেলার গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী।
জানা যায়, কলেজপড়ুয়া তানজিনার সঙ্গে দোহাজারী এলাকার ওয়ার্কশপ শ্রমিক সানির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সানি পটিয়ার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
সোমবার সানির প্রেমিকা তানজিনা ঘর থেকে বেরিয়ে সরাসরি সানির দোকানে চলে আসে। সন্ধ্যার পর কিশোরী দোকানে অবস্থান নেওয়ার দৃশ্য এলাকার লোকজন দেখে তাদের সন্দেহ হয়।
এনিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাকে মারধর করে স্হানীয়রা। এসময় এলাকাবাসী শাহচান্দ আউলিয়া মাজার গেট এলাকার কাজী আব্বুস আলীর কাছে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। বিয়ের প্রস্তুতির খবর পেয়ে বাঁধ সাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ের পরিবর্তে প্রেমিক সানিকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জয়নিউজকে জানান, মেয়েটি কলেজপড়ুয়া ছাত্রী হলেও প্রেমের টানে ওয়ার্কশপ শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করতে পালিয়ে আসে। পরে এলাকার লোকজন অশ্লীলভাবে মেলামেশার সংবাদ দেওয়ার পর তিনি অভিযান চালিয়ে বিয়ের পরিবর্তে কিশোর সানিকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন এবং কিশোরীকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।