আগামীতে আবারও সরকার গঠন করতে পারলে প্রতিটি বিভাগে সরকারি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের চিকিৎসাসেবা আন্তর্জাতিক মানের করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ-এর অর্থায়নে নির্মিতব্য সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রকল্পের বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসকদের জন্য আরও গবেষণা কেন্দ্র খুলবো, যাতে তারা গবেষণার প্রতি আরও জোর দিতে পারেন। জনগণের চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে। মানুষ কম খরচে যেন চিকিৎসাসেবা পায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের চিকিৎসাসেবার জন্য প্রচুর নার্স দরকার। আমরা নার্স নিয়োগে বয়স শিথিল করে দিয়েছি, যাতে বেশি করে নার্স নিয়োগ দেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু থাকবে। সেইসঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতিও এখানে সংগ্রহ করা হবে। মানুষ সেবা পাক এটিই আমাদের লক্ষ্য। তিনি জানান, দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গরিব মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং ৩০ প্রকার ওষুধ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে যাতে আরও বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে ওঠে সে জন্য হাসপাতালের ও চিকিৎসার বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। আমরা চাই চিকিৎসা ব্যবস্থাটা যেন একটা শিল্প হিসেবে গড়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতে উন্নতি হলেও চিকিৎসকদের ব্যবহার নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তনে প্রথম বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বিহেভিয়ার সংক্রান্ত কোর্স চালু করা দরকার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান।
জয়নিউজ/আরসি