চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, লক্ষাধিক নগরবাসীকে সুলভ বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে চসিক। দায়িত্ব নেওয়ার ৪ বছর ৩ মাস অতিক্রমের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, নগরে ১৪ লাখ ৪০ হাজার হতদরিদ্র মানুষ আছেন। তাই ৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা ফি করেছি চসিক জেনারেল হাসপাতালে। এটা নিয়ে বড় পরিকল্পনা আছে আমার।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লার চসিক পুরাতন ভবনের আব্দুস ছত্তার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের ৪ বছরের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম দেশের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। এর পরের মেয়রের আমলে তা দুর্নামে পরিণত হয়। আমি সুনাম পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা নিই। এতে নগরবাসীর আস্থা তৈরি হয়। ফলে ক্রমেই চসিকের হাসপাতাল ও স্বাস্থকেন্দ্রগুলোতে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।
চসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র নিছার আহমদ মনজু, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী প্রমুখ।
সভায় ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, চসিক এ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৩ হাজার ৩২২ জনের ডেঙ্গু রোগের রক্ত পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ৩০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
তিনি জানান, চসিক স্বাস্থ্য বিভাগে ১ হাজার ৫২ জন কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসক ১৩৪ জন, হোমিও চিকিৎসক ২৭ জন, ৮১ জন নার্স, ৮৩ জন ফার্মাসিস্ট, ১২২ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছেন। ৪টি মাতৃসদন হাসপাতালে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেবা নিয়েছিলেন ৪৯ হাজার ১২৩ জন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৫৫৫ জন। স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
তিনি আরো জানান, ৪১ ওয়ার্ডে ১ ডিসেম্বর থেকে ৪১ হাজার মেয়র হেলথ কার্ড দেওয়া হবে। চসিক জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে এনআইসিইউ চালু, বস্তির জন্য ডিজিটাল মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট, সিনিয়র সিটিজেনদের পুনর্বাসনে ওল্ড এজ হোম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।