কক্সবাজারের পেকুয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে এক দম্পতি। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া ভেড়া মার্কেট এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে অভিযুক্ত জনুয়ারা বেগম (৩৪) ও তার স্বামী শাহাব উদ্দিন (৪০) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে কিশোরীর পিতা ফজল করিম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পেকুয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন সরকার বলেন, ১০ দিন আগে কিশোরীকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় জনুয়ারা বেগম।
‘সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও তার স্ত্রী জনুয়ারা বেগম চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া ভেড়া মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা শহরে নিয়ে আসে। এরপর দালালের মাধ্যমে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।’
এসআই সুমন জানান, তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। টানা দুইদিন কষ্ট করার পর আমরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করি।
মামলার বাদী ফজল করিম জানান, গরিরের সংসার আমার। বেশি টাকার চাকরির কথা বলে জনুয়ারা বেগম আমার মেয়েকে ১০ দিন আগে শহরে নিয়ে যায়। এরপর মেয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। শুনেছি মেয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে না। একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে তাকে। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য থানায় মামলা করেছি।
গ্রেপ্তার শাহাব উদ্দিন জানান, আমি ৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছি। রাজমেস্ত্রীর কাজ করি। স্ত্রী জনুয়ারা পেকুয়ায় থাকে। কয়েকদিন আগে পেকুয়ার এক মহিলাকে নিয়ে বাসায় এসেছিল জনুয়ারা। দুইদিন বাসায় থেকে চলে গিয়েছিল। এরপর কি হয়েছে আমি কিছু জানি না।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কামরুল আজম জানান, পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। জড়িত স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে এসআই সুমন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ আইন ও পতিতালয়ে বিক্রির অপরাধে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে, জানান তিনি।