আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে বছরের পর বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও অধরা রয়ে যায় সেই স্বপ্ন।
অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন শাহবাজ নাদিম।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথম একাদশে স্থান পেয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাদিম। অবাক করা ব্যাপার হলো, শুক্রবারও (১৮ অক্টোবর) নাদিম জানতেন না শনিবার আন্তর্জাতিক অভিষেক হচ্ছে তাঁর!
মূলত ভারতের আরেক স্পিনার কুলদীপ যাদবের চোট আশীর্বাদ হয়ে গেল ৩০ বছর বয়সের নাদিমের জন্য।
নাদিম-আসাদ দুই ভাই-ই ক্রিকেট খেলতেন। তবে তাদের পুলিশ কর্মকর্তা বাবার সোজা কথা- দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনই ব্যাট-বলের দুনিয়ায় থাকবে। অন্যজনকে ছাড়তে হবে খেলা।
এই পরিস্থিতিতে বড় ভাই আসাদ ইকবাল আত্মত্যাগ করেন। ভাইয়ের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য নিজে সরে আসেন। তিনি এখন নয়াদিল্লিতে, এমবিএ করে চাকরি করছেন। ভাইকে টেস্ট ক্রিকেটার হতে দেখে নিজের সিদ্ধান্তে এখন নিশ্চয় ভীষণ খুশি আসাদ।
২০০৪ সালে ঝাড়খণ্ডের হয়ে অভিষেক থেকেই ধারাবাহিক নাদিম। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে কানওয়ালজিৎ সিংহের পর নাদিমই দ্বিতীয় বোলার যিনি দুই মৌসুমে পঞ্চাশের বেশি উইকেট পেয়েছেন। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ মৌসুমে তিনি যথাক্রমে ৫১ ও ৫৬ উইকেট পান। এর আগে হায়দরাবাদের অফস্পিনার কানওয়ালজিৎ ১৯৯৮-৯৯ ও ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে যথাক্রমে ৫১ ও ৬২ উইকেট নিয়েছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১০ ম্যাচে ২৮ গড়ে ৪২৪ উইকেট নিয়েছেন নাদিম। এর মধ্যে ১৯ বার নিয়েছেন পাঁচ বা তার বেশি উইকেট। পাঁচবার নিয়েছেন ১০ বা তার বেশি উইকেট।
গত মৌসুমেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৭ উইকেট নেন নাদিম তিনি। চলতি বছর ভারত এ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেন ১৫ উইকেট। লোয়ার অর্ডারেও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান নাদিম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে সাতটি হাফ-সেঞ্চুরি!
জয়নিউজ/হিমেল