‘কিছু কিছু ছাত্র, তরুণ-যুবকরা আছেন যারা ফেসবুক রাজনীতিতে খুব একটিভ। তারা হুট করে একটা সেলফি তুলে সেটা ফেসবুকে দিয়ে দেবে। এই সেলফি লীগ ও ফেসবুক লীগের যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ। এদের থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
নগরের যাত্রা মোহন সেন হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। সম্মেলনকে সামনে রেখে আমরা দলকে পরিষ্কার করার কাজে হাত দিয়েছি। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের যারা নির্যাতন করেছে তাদের অনেকে পরিচয় গোপন করে সংগঠনে ঢুকে পড়েছে। তাদের চিহ্নিত করে সংগঠন থেকে বের করে দিতে হবে।
তাঁতী লীগের নেতাদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের সংগঠনে অনেক আগাছা-পরগাছা ঢুকেছে। অনেকে নানাভাবে পদ পেয়েছে। আগাছা-পরগাছা সংগঠনের সব পর্যায় থেকে দূর করতে হবে।
এসময় তিনি কমিটি গঠনের সময় তাঁতী লীগের নেতাদের অনুরোধ করে বলেন, আগাছা-পরগাছা যাতে সংগঠনে পদ না পায়, সেদিকে আপনারা সচেষ্ট থাকবেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাঁতী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শুধুমাত্র স্লোগান আর দলীয় রাজনীতির মধ্যে যদি আমরা নিজেদের সীমাবদ্ধ করে ফেলি, তাহলে সংগঠন এগিয়ে যাবে না। বঙ্গবন্ধুর তাঁতী লীগ গঠনের যে দর্শন, সেটাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, এ ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমি যদি দুর্নীতি, অনিয়ম এবং অপরাজনীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদশালী হয়ে উঠি, তাহলে কিন্তু আমি বাংলার সাধারণ জনগণের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলব। রাজনৈতিক পদ ধরে রাখার কোনো অধিকার আমার থাকবে না।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি সাধনা দাশগুপ্তা।