যাত্রীদেরকে জিম্মি করে গণপরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করার ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটি বলছে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদেরকে সরকারের অত্যধিক প্রণোদনার কারণে বারবার ঘোষণা ছাড়াই জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করছে তারা।
মঙ্গলবার (২২ আক্টোবর) গনমাধ্যামে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সরকারের পক্ষ থেকে অত্যাধিক প্রণোদনা দেওয়ার কারণে তাঁরা বারবার জনগনকে জিম্মি করে এ ধরনের অবৈধ ধর্মঘট আহবান করছে। এছাড়া আইন প্রয়োগে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বারবার বাঁধা দিলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুরস্কার হিসাবে তাদেরকে মন্ত্রী, এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা বানাচ্ছে। আর এ খাতের অন্যতম অংশীদার ভোক্তারা কোনো প্রণোদনাতো দূরের কথা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সদস্যও হতে পারছে না। ফলে সড়কে নৈরাজ্য থামছে না। সড়ক পরিবহন খাতে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাই মিলে তাদের মতো করে যাবতীয় নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগনকে। বিএরআটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া কঠিন, কারণ সবকিছুর ওপর পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাই রাজত্ব করছে। এজন্য সড়ক পরিবহন খাতে নৈরাজ্য থামাতে হলে ভোক্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত জরুরী বলে মনে করছে সংগঠনটি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ক্যাবের কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।
প্রসঙ্গত, রোববার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপুর্ণভাবে গাড়ি চালানোর অপরাধে মালিক, চালক ও হেলপারকে কারাদন্ড প্রদান করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। এরপর থেকেই কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন আন্তঃনগর গণপরিবহনগুলি ধর্মঘট আহবান করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ফলে নগরের সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি