সীতাকুণ্ডে মোবাইল চুরির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টার সময় নিহতের লাশ তার স্বজনরা ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসে। এসময় নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকবাসী হত্যাকারী পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে।
নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ এজাহার মিয়া (২৭)। তিনি উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের অলিকাজির বাড়ির মোহাম্মদ মুফিজের চতুর্থ ছেলে। লামিয়া নামে তার দেড় বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
নিহত এজাহার মিয়ার শাশুড়ি মরিয়ম বেগম বলেন, সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত এসআই রায়হান মোবাইল ফোনে এজাহারকে ডেকে তার নিজ বাড়ি ভাটিয়ারি কলেজপাড়ায় নিয়ে যায়। এসময় তার ওই পুলিশ, তার শ্যালক ও স্ত্রী মিলে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে এজাহারকে পেটান। আমি এর প্রতিবাদ করলে সে বলে এজাহার তার মোবাইল ফোন চুরি করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোন এনে দেবে না ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে ছাড়া হবে না। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভোররাত ৫টার সময় একটি সাদা মাইক্রো করে এজাহারকে মুমূর্ষ অবস্থায় ভাটিয়ারি-হাটহাজারী লিংক রোড়ের ব্রিজ এলাকায় নিয়ে একটি ব্যাটারি রিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে এজাহারের অবস্থার অবনতি হলে স্ত্রী পপি ও শাশুড়ি তাকে স্থানীয় বিএসবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। পরে তার মরদেহ ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসেন তারা।
অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে এসআই রায়হান মুঠোফোনে জয়নিউজকে বলেন, আমি চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিছুদিন আগে আমার একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানায় জিডি করেছি। এ ব্যাপারে এজাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে উল্লেখ করেন এসআই রায়হান।
জয়নিউজ/সেকান্দর/পিডি