রামুতে ওমর মিয়া নামে রোহিঙ্গা যুবককে ছেলে পরিচয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছবি তুলতে আসায় শামশুল আলম নামে এক ব্যক্তিসহ ওই রোহিঙ্গা যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রামুর রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
আটক শামশুল আলম রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া এলাকাল উল্ডাখালীর মৃত মোহাম্মদ কালুর ছেলে এবং ওমর মিয়া মায়ানমারের একজন রোহিঙ্গা। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে রামুর রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ওমর মিয়া নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে ছেলে সাজিয়ে ছবি তুলতে নিয়ে আসেন শামশুল আলম নামে এক ব্যক্তি। তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে ও তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়।
ওমর মিয়া একজন রোহিঙ্গা, সে শামশুল আলমের ছেলে নয়। ওমর মিয়া বলচ্যুত রোহিঙ্গাদের একজন। তাকে বাংলাদেশি নাগরিক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত গোয়েন্দা প্রতিনিধিরা তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। বিষয়টি এনএসআই সদস্য আবু হানিফ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে জানান।
পরে আটক রোহিঙ্গা যুবক ওমর মিয়া ও কথিত পিতা শামশুল আলমকে আটক করে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রণয় চাকমা জয়নিউজকে বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ছবি তুলতে আসা ওমর মিয়া একজন বলচ্যুত রোহিঙ্গা। শামশুল আলম নামে ওই ব্যক্তি ওমর মিয়াকে ছেলে সাজিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছবি তুলতে নিয়ে আসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত শামশুল আলম ও ওমর মিয়াকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কোনো প্রকার লোভের বশবর্তী হয়ে কোনো রোহিঙ্গাকে নিজের ছেলে বা মেয়ের পরিচয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে অংশগ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।