হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা এলাকা থেকে আনিসুল ইসলাম (১৯) নামে এক রাজমিস্ত্রির সহকারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটি একটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। আনিস নওশা পাড়ার মিয়া মেম্বার বাড়ির রিকশাচালক মনসুরের একমাত্র ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আনিস রাজমিস্ত্রির কাজ সেরে প্রতিদিনের মত রাত ১০টার মধ্যে ঘরে না ফেরায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তার মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। রাত ১টার দিকেও ছেলে ঘরে না আসায় পরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ে।
পরেরদিন নিহতের পিতা সকাল ৬টার দিকে পুকুরে যাওয়ার সময় দেখতে পান ছেলের ঘরের দক্ষিণ পাশে আম গাছের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ। ওই সময় নিহতের পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে।
নিহতের পরিবারের দাবি তাদের একমাত্র ছেলেকে পার্শ্ববর্তীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আনিসের বাবা মনসুর ও মা দিলওয়ারা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নিহতের মায়ের পার্শ্ববর্তী সৎ ভাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নিহতের ঘরের জায়গা নিয়ে সমস্যা চলছে। নিহতের বাবা-মাকে শারীরিকভাবে মারধরের পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এক বছর আগেও মেয়ে সংক্রান্ত একটি ঘটনার জের ধরে নিহত আনিস ও তার বাবা মাসহ ওই বাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মিথ্যা মামলা করে নিহতের মামারা। যার ফলে নিহত আনিস আটদিন জেলও খেটেছেন।
চলতি মাসের প্রথম দিনও ওই মামলায় হাজিরাও দিয়েছেন তারা। প্রায় সময় তারা আমাদের গালিগালাজ করে, আমরা অসহায়ের মত শোনা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। শনিবারও তারা আমাদের গালিগালাজের পাশাপাশি ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।