লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিলন হত্যা মামলায় জামাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের চরচামিতা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় জসিমের দেওয়া তথ্যমতে ওই এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি ২টি বন্দুক, দুটি এলজি ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। মিলনকে পূর্বশত্রুতা ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মিলন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইলিয়াছ কোবরা নামের এক আসামি নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আসামিরা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল)আনোয়ার হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে একই উপজেলার আলাদাদপুর বাজারে খোরশেদ আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মিলন দত্তপাড়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।