রাউজানের ডাবুয়ার জগন্নাথ হাট প্রকাশ বাইন্যার হাট। এ বাইন্যার হাটে একসময়ে বাইন্যারা স্বর্ণলংকার তৈরি করতেন। এ কারণে জগন্নাথ হাটের নামকরণ করা হয় বাইন্যার হাট। বর্তমানে এ হাটে হাতেগোনা কয়েকটি স্বর্ণের দোকান থাকলেও আগের মতো নেই স্বর্ণ তৈরির কাজ। তবে এ বাজারে আছে নানা সমস্যা।
পশ্চিম ডাবুয়া বণিকপাড়া এলাকার জগদীশ মহাজন জয়নিউজকে বলেন, পূর্ব পুরুষের পেশা ধরে রেখে এখনো বাইন্যার হাটে দোকানে বসে স্বর্ণলংকার তৈরি করে আসছি। তবে স্বর্ণলংকার তৈরি ও রেডিমিট স্বর্ণলংকারের শতাধিক দোকান উপজেলার ফকিরহাটের থাকায় লোকজন ওই এলাকায় চলে যায়। হাতেগোনা কয়েকজন এলাকার লোক ও মহিলারা এসে আমার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার তৈরি করে।
তিনি আরো বলেন, তার পূর্বপুরুষ প্রয়াত অখিল মহাজন, প্রয়াত বৈকুন্ট মহাজন, প্রয়াত হরেন্দ্র লাল মহাজন, প্রয়াত মনিন্দ্র মহাজন বাইন্যার হাটে স্বর্ণালংকার তৈরির কাজ করেছেন। পরে আমার পিতা পরিমল মহাজন স্বর্ণালংকার তৈরি করে বাইন্যার হাটের ঐতিহ্য ধরে রাখেন।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম ও মেম্বার মিটু শীল জয়নিউজকে বলেন, বাইন্যার হাটে ১৩০টি বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন এ বাইন্যার হাটে বিভিন্ন দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করেন ক্রেতারা।
এদিকে বাইন্যার হাটে কোনো ব্যাংক না থাকায় ব্যবসায়ীরা উপজেলার ফকিরহাট বাজারে এসে ব্যাংকে লেনদেন করেন।
তবে বাইন্যার হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ব্যবহারের জন্য নেই কোনো শৌচাগার। একটি গভীর নলকূপ মসজিদের সামনে থাকলেও তা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা।
এ বাজারের পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।