প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিবর্তনের জাদুকর উল্লেখ করে সিএমপি পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান বলেন, ১০ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশের বিস্তর ফারাক। আগে ভয়ে হোক, লজ্জায় হোক, সংকোচে হোক, মানুষ থানায় যেত না। কিন্ত এখন পুলিশের কাছে আসতেই হয় না। পুলিশ যায় জনগণের দোরগোড়ায়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ যেমন সারা বাংলাদেশকে একা সুশৃঙ্খল করতে পারে না। বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশও একা চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট নয়। এখানে আপনাদের সহযোগিতা দরকার। সমাজের সর্বস্তরের, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার হিসেবে বলতে চাই, আমি প্রতিটি থানার ওসিকে বাধ্য করছি প্রতি মাসে অন্তত একটি শুক্রবারে জুমার নামাজের খুতবায় জঙ্গিবিরোধী, মাদকবিরোধী কথা বলার জন্য। হ্যালো ওসির মাধ্যমে অলি-গলিতে, প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে কেউ ওসির চেহারা দেখেননি, সেখানে ওসিরা যাচ্ছেন। আপনাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আপনাদের সমস্যা সমাধান করছেন। সমস্যা সমাধানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা মন্দ পুলিশকে বর্জন করুন, ভালো পুলিশের সঙ্গে থাকুন। তেমনি সমাজে ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে খারাপ মানুষ থাকলে তাকে বর্জন করুন। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এ অভিযান থেকে কেউ মুক্ত নয়। তাই যারা ভাবছেন সন্ত্রাস করে বড় রাজনৈতিক নেতা হবেন, অনেক টাকার মালিক হবেন, তারা দয়া করে সে আশা পরিত্যাগ করুন। নিজে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন। দেশে থাকলে ভালোভাবে থাকতে হবে।
কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি আজাদী সম্পাদক এমএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত আইজি মো. ইকবাল বাহার।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম নগর শাখার সদস্য সচিব ও জয়নিউজ সম্পাদক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন , চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চসিকের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতা এসএম আবু তৈয়ব ও কাউন্সিলর আনজুমান আরা আনজু।