দলে অনুপ্রবেশকারী ছারপোকা উইপোকেদের বের করে দিতে হবে। তাদের কোনো পদ পদবী দেওয়া যাবে না। ঘুন পোকা যেভাবে গাছ খেয়ে ফেলে সেই ভাবে দলে ষড়যন্ত্র করছে অনুপ্রবেশকারীরা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের ৬ সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের আমাদের সংগঠনে দরকার নেই। জননেত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তিন তিন বার নিবাচিত হয়েছে। এর কারণে অনেকের মধ্যে অলসতা চলে আসতে পারে। আমাদের তাদেরও বের করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। অনেকে ভেবেছে আওয়ামী লীগ আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় এসেছে। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ ঠিকে আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কর্মীর দল। নেতাদের দল নয়। যখন দুঃসময় এসেছিল অনেক নেতা অপোষ করেছিল।কিন্তু তৃণমূলের নেতারা সেই আপোষ করেননি।
এর আগে রোববার সকালে ১০টায় নগরে দি কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় এ প্রতিনিধি সভার।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এবং নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।