বসন্তের কোকিলদের দলে না ভেড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মৌসুম শেষে তারা চলে যাবে। হাজার ভোল্টের বাতি দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নগরের দি কিং অব চিটাগাংয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেললে আওয়ামী লীগ আর বেঁচে থাকবে না। বঙ্গবন্ধ নেই কিন্তু আওয়ামী লীগ আছে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে আওয়ামী লীগ।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা করেন পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে। যেই দেশ ছিল ভিক্ষুকের দেশ, সেই দেশ এখন এশিয়ার শীর্ষে। ভারতসহ আশপাশের অনেক দেশকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবকিছু বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কৃতিত্ব।
শেখ হাসিনার সৎসাহস আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭৫ পরবর্তী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শেখ হাসিনা। তিনি দুর্নীতি, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকেই তিনি ছাড় দিচ্ছেন না। এবংকি নিজের দলকেও ছাড়েননি তিনি। আমরা লোক দেখানো বিচার করছি না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থনে আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ না বিএনপি নেতাদের অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের খবর দেওয়া হচ্ছে। সময় হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব অপরাধী ধরা পরবে। অপরাধ যারা করেন সাবধান হয়ে যান। শেখ হাসিনার অ্যাকশেন, ডাইরেক্ট অ্যাকশেন।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এবং নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।