চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ছরওয়ার জাহানের হস্তক্ষেপে ঘুষের টাকা গ্রাহককে ফেরত দিলেন লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম গ্রাহকের কাছে এ টাকা হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে ডিজিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন গ্রাহক প্রতুল কান্তি দাশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী প্রতুল বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পশ্চিমে দাশপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ও রাহুল দাশ আবাসিক লাইন থেকে মুরগীর ফার্মে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। বিষয়টি দালালচক্র জিয়াবুল, এরশাদ, আশিষ, দেরাছ ও পদুয়া সাবস্টেশনের ডিউটিরত লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম জানতে পারেন। ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে তারা ফার্মে গিয়ে একজনকে ডিজিএম ও আরেকজনকে এজিএম পরিচয় দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করে। তারা (অভিযোগকারী) ৩৫ হাজার জরিমানা আদায় করেন। পরে তারা জানতে পারেন লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম ছাড়া অন্যরা অফিসের কেউ নয়।
এদিকে ডিজিএম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এজিএম (ওএন্ডএম) প্রশান্ত বিশ্বাস ও ইসি জাহাঙ্গীর আলমসহ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয় এবং লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম থেকে টাকা উদ্ধার করে গ্রাহক প্রতুল ও রাহুলকে ফেরত দেওয়া হয়।
গ্রাহক প্রতুল ও রাহুল তাদের বৈধতা ফিরে পাওয়ার জন্য অফিসিয়াল রশিদ নং- ৭৪৫৫৫৫ ও ৭৪৫৫৫৬ মূলে নগদ ৩৭ হাজার ২৭৮ টাকা জরিমানা পরিশোধ করেন।
ডিজিএম ছরওয়ার জাহান জয়নিউজকে বলেন, তিনি সম্প্রতি চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ লোহাগাড়া জোনাল অফিসে যোগদান করেছেন। যোগদানের পর থেকে গ্রাহকদের যথাযথ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন। অফিসকে দালালমুক্ত রেখে অফিসের নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে বিনা হয়রানিতে মিটার সরবরাহ করে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর অফিসে কোনো অপরাধী ছাড় পাবে না।
তিনি আরও জানান, আবদুল কাইয়ুম ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে অভিযুক্ত কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।