জুয়াড়ির প্রস্তাবের তথ্য না জানানোয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞার খড়্গ পড়েছে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের উপর। আগরওয়াল নামের এক জুয়াড়ির কারণেই সাকিবের এই সর্বনাশ।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ভারতীয় এই জুয়াড়ি সম্পর্কে দিয়েছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আইসিসির কালো তালিকায় অনেক উপরে থাকা এই জুয়াড়ির পুরো নাম ভিক্রম আগরওয়াল। ফিক্সিংয়ের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার ভারতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফিক্সিংয়ের অভিযোগে একাধিকবার কাঠগড়ায় যেতে হয়েছে তাঁকে।
২০১৩ সালের জুনে ফিক্সিংয়ে দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা বিন্দু দারা সিং ও ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পান। তখন তাঁরা দু’জনই ফিক্সিংয়ের সঙ্গে আগরওয়ালের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
একটি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আগরওয়াল ভারতের চেন্নাইয়ের একজন হোটেল ব্যবসায়ী। চেন্নাই শহরে দুটি হোটেল আছে তাঁর- ১২৯ কক্ষের ব্যবসায়িক হোটেল ফরচুন সিলেক্ট পামস ও পাঁচতারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লু। রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া এই জুয়াড়ি ভিভিএ হোটেল প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান এবং আইটিসি হোটেল গ্রুপের সদস্য।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসার মাধ্যমে হোটেল ব্যবসায় যুক্ত হন আগরওয়াল। এরপরই রাতারাতি ভাগ্যবদল। তারপর জড়িয়ে পড়েন জুয়াড়ি চক্রে। তিনি ‘ভিক্টোর’ পরিচয়েও বিভিন্ন খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
এদিকে সাকিবের এক পরিচিত ব্যক্তিই আগরওয়ালকে সাকিবের নাম্বারটি দেন। এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপে সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন আগরওয়াল।
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনবার সাকিবকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আগরওয়াল। তবে সব প্রস্তাবই সাকিব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন- এমন তথ্যও আছে আকসুর কাছে।
জয়নিউজ