নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগেই ছেড়ে গেল সাগরে অর্ধশতাধিত ফিশিংবোট।
মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে এসব ফিশিং বোট মাঝি-মাল্লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরআগে ২৪ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শতাধিক ফিশিংবোটে উঠানো হয়েছিল বরফ ও মাছ ধরার জাল। এদিকে বাঁশখালীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হরদম চলেছে ১৮টি বরফকল।
বাঁশখালীর শেখেরখীল সরকার বাজার, চাম্বল বাংলাবাজার, গন্ডামারা খাটখালী, ছনুয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া এলাকার গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে শেখেরখীল সরকার বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৬ অক্টোবর বরফ রাখার অভিযোগে মাত্র ১টি ফিশিংবোটকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল।
সরকারের মৎস্য আইনে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে, ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বরফকলগুলো বন্ধ রাখতে হবে এবং ফিশিংবোটের জাল নামিয়ে বাড়িতে রাখতে হবে। এ সময়টুকুতে বাঁশখালীর ৮ হাজার জেলে পরিবারের আর্থিক দুর্গতি লাঘবে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি করে চালও দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকটি ফিশিংবোটের মাঝি-মাল্লারা বলেন, ‘ফিশিং বোটের মালিকরা বোটে বরফ ঢুকানোর পর থেকে তাদেরকে নানাভাবে সাগরে মাছ ধরতে যেতে চাপ সৃষ্টি করছে। এমন কী অনেককে শর্তারোপ করে দিয়েছে ২৯ তারিখ রাতে সাগরে না গেলে পূর্বের বকেয়া টাকা আর দেওয়া হবে না এবং চাকরিতে রাখা হবে না।
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞার আগে মাছ ধরতে গেলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হতে হবে আর মাছ ধরতে না গেলে চাকরি হারাতে হবে। এই দুই সংকটে কতিপয় মাঝিমাল্লারা দিশেহারা।
বাঁশখালী ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. এয়ার আলী জয়নিউজকে বলেন, ‘কিছু কিছু ফিশিংবোট মাছ ধরতে গেছে ঠিক। তবে অন্যান্য উপজেলায় আরও বেশি ফিশিংবোট মাছ ধরতে গেছে। বাঁশখালীতে এর তুলনায় অনেক কম।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, ‘ফিশিংবোট সাগরে যাবার খবর পেয়ে জলসীমানায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ফিশিংবোটের মালিককে নিষেধাজ্ঞা অমান্য থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারী করা হয়েছে।’