আসাদুজ্জামান নূর। নাটকে অভিনয় করে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা তাঁর। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। তবে রাজনীতিতে সরব হয়ে গত এক দশক তিনি অভিনয়ে নিয়মিত নন।
এবার একটু একটু করে ফের ফিরছেন রঙিন ভুবনে। শুধু অভিনয় নয়, মঞ্চ-আবৃত্তি সবখানেই সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে ‘বাকের ভাই’খ্যাত এই অভিনেতার।
থিয়েটারকর্মী থেকে হয়ে উঠেছেন অসাধারণ এক অভিনেতা। তিনি এখনও কালজয়ী হয়ে আছেন ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের জন্য। আজ তাঁর জন্মদিন। এ বছর তিনি ৭৩ বছর বয়সে পা রাখলেন।
আসাদুজ্জামান নূরের এবারের জন্মদিনটা কাটছে যুক্তরাজ্যে। সাত দিনব্যাপী নাটকের এক উৎসবে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে গেছেন তিনি। আগামী ৪ নভেম্বর উৎসব শেষ করে তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা। দেশে ফিরেই ব্যস্ত হবেন অভিনয়ে।
আগামী ২৯ নভেম্বর নতুন একটি নাটক নিয়ে মঞ্চে হাজির হবেন এই অভিনেতা। পান্থ শাহরিয়ারের পাণ্ডুলিপি ও নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চে আনছে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। নাটকের সম্ভাব্য নাম ‘কালো জলের কাব্য’। এই নাটকে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে অভিনয় করবেন অপি করিম।
আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক দিন। ২০০১, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে নিলফামারী জেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রথম জীবনে ছাত্রাবস্থায় তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়ান। ১৯৬২ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আসাদুজ্জামান নূর মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।
১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান নূর। নীলফামারী বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ছোট্ট মফস্বল শহর। এই শহরে শৈশব-কৈশোর আর তারুণ্যের প্রথম ভাগ কেটেছে তাঁর। তাঁর বাবা-মা ছিলেন দুজনই স্কুলশিক্ষক।
দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর সবার বড়। ১৯৮২ সালে ডা. শাহীন আকতারকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে সুদীপ্ত লন্ডনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে দেশে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত। মেয়ে সুপ্রভাও শেষ করেছে লেখাপড়া।
জয়নিউজ/পিডি