রাউজানে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে ৯০০ লিটার পাহাড়ি চোলাই মদসহ তিন মাদকব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বিনাজুরী, ইদিলপুর ও বাগোয়ান ইউনিয়নের ফৌজদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে বিনাজুরী ২নং ওয়ার্ডের অরুণ মাস্টারের বাড়ির মাদকব্যবসায়ী বিন্দু বড়ুয়ার মাদকের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিন্দু বড়ুয়া ও তার ছেলে ইমন বড়ুয়া পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ তার আস্তানা থেকে ২০০ লিটার পাহাড়ি চোলাই মদসহ বিন্দু বড়ুয়ার স্ত্রী সুমিতা বড়ুয়াকে (৩৫) আটক করে। এব্যাপারে সুমিতা বড়ুয়া ও তার ছেলে ইমন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে রাউজান থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অপর একটি দল একইরাতে বিনাজুরী ইউনিয়নের ইদিলপুর মাদকব্যবসায়ী সুজন বড়ুয়ার মাদকের আস্তানায় অভিযান চালায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুজন বড়ুয়া পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ তার ঘর তল্লাশি করতে চাইলে সুজনের মা বিনা বড়ুয়া (৬০) পুলিশকে বাধা দেয়।
পরে পুলিশ ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের ডেকে এনে সুজন বড়ুয়ার ঘর তল্লাশি করে।
এসময় পুলিশ তার ঘর থেকে ৪০০ লিটার পাহাড়ি চোলাইমদ উদ্ধার করে। আটক করে সুজন বড়ুয়ার মা বীনা বড়ুয়াকে।
এব্যাপারে মাদকব্যবসায়ী সুজন বড়ুয়া ও তার মা বীনা বড়ুয়ার বিরুদ্ধে রাউজান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একইরাতে বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফৌজদারপাড়া ফকির আহম্মদের বাড়িতে মাদকব্যবসায়ী আনোয়ারের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় স্যালাইন ব্যাগভর্তি ২০০ লিটার পাহাড়ি চোলাই মদসহ মাদকব্যবসায়ী আনোয়ারকে (৪২) আটক করা হয়।
আনোয়ার একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আবছারের ভাই।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ারা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী। আটক তিন মাদকব্যবসায়ীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।