চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমীরুল কায়ছার বলেছেন, পৃথিবীর প্রত্যেক শিশু আনন্দ-বিনোদনের মধ্যে বাঁচতে চায়। কিন্তু অনেক শিশু তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুর প্রতি অবহেলা না করে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদেরকে আনন্দ-বিনোদনের সুযোগ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
শিশুর ওপর যাতে কোনো ধরনের মানসিক চাপ না পড়ে সে ব্যাপারে প্রত্যেক অভিভাবককে আন্তরিক হতে হবে। শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
শিশুরা আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। এদেশকে শিশুর বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে আয়োজিত চার দিনব্যাপী শিশু আনন্দ মেলা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও শিশু নাট্য প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও প্রাণ গ্রুপ অব কোম্পানির সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী শিশু আনন্দ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
শিশু প্রতিনিধি নাজিফা তাজনুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু আনন্দ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কবি বিশ্বজিত চৌধুরী, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ডা. বাসনা মুহুরী, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু ও প্রাণ গ্রুপ ফুডস এর ব্রান্ড ম্যানেজার মোস্তাক আহমদ।
আনন্দমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক, ক্ষুদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।