বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে ৪৪ রানের ব্যবধানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনার দিন। স্বাভাবিকভাবেই যতদিন রবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, ততদিন এ ম্যাচটিও থাকবে ইতিহাসের অংশ হয়ে।
তেমনিভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। কেননা এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই চার অঙ্ক ছুঁতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস করতে নামবেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আর তা হলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পূর্ণ হবে ১০০০টি ম্যাচ। অর্থাৎ কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের ১০০০তম ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ম্যাচসংখ্যার হাজার পূরণ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। মাত্র সাড়ে ১৪ বছরের মধ্যেই চার অঙ্কে নাম লিখিয়ে ফেলছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এই ফরম্যাটের ৯৯৯তম ম্যাচটিতে এখন লড়ছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। আর ১০০০তম ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানই। সবচেয়ে বেশি ৯০টি জয়ও তাদের (চলতি ম্যাচ বাদে)। এছাড়া একশ’র বেশি ম্যাচ খেলেছে আরও ৭টি দল। বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত খেলেছে ৮৯টি বিশ ওভারের ম্যাচ।
দেখে নেয়া যাক শীর্ষ ৫ দেশের টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান
১. পাকিস্তান – ১৪৭ ম্যাচে ৯০ জয়, ৫৩ পরাজয় ও ৩টি টাই
২. ভারত – ১২০ ম্যাচে ৭৪ জয়, ৪২ পরাজয় ও ১টি টাই
৩. দক্ষিণ আফ্রিকা – ১১৫ ম্যাচে ৬৮ জয়, ৪৫ পরাজয় ও ১টি টাই
৪. অস্ট্রেলিয়া – ১২০ ম্যাচে ৬৩ জয়, ৫২ পরাজয় ও ২টি টাই
৫. নিউজিল্যান্ড – ১২৩ ম্যাচে ৬০ জয়, ৫৫ পরাজয় ও ৫টি টাই
জয়নিউজ/পিডি