ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতের অভিযোগে দায়ের করা পাঁচ মামলায় জামিন পেয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া েএ ৫ মামলার মধ্যে তিন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। অপরদিকে একই আদালতে দায়ের করা আরও দুই মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। আগামী ৫ নভেম্বর এই দুই মামলার দিন ধার্য থাকলেও বিদেশে প্রোগ্রাম থাকায় অগ্রিম জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস।
রোববার (৩ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক মামলায় ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এসব মামলায় সেইসঙ্গে আগামীতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেয়ার অনুমতি চেয়েও আবেদন করেন নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন তাকে উপস্থিত হতে বলেন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। একই সঙ্গে, বিমানবন্দরে নামার পর থেকে তাকে এই সময়ের মধ্যে (৭ নভেম্বর পর্যন্ত) গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেন আদালত।
৯ অক্টোবর ট্রেড ইউনিয়নের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম।
এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী।
অপরদিকে একই অভিযোগে হোসাইন আহমেদ ও আব্দুর গফুর নামে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের দুই কর্মী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা করেন। মামলা দুটির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য ছিল।
জয়নিউজ/পিডি