কোনো পণ্যের গায়ে লাগানো ছিল না উৎপাদন এবং মেয়াদের স্টিকার। এরমধ্যে কোনো কোনো পণ্য (মিষ্টি) একদিন আগে বিক্রয় কেন্দ্রে এসে পৌঁছলেও পরের দিন (আজ) পর্যন্ত লাগানো হয়নি স্টিকার। কেন পণ্যের গায়ে স্টিকার লাগানো হয়নি ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন প্রশ্নে বিক্রেতাদের উত্তর ছিল সাদামাটা, লাগাতে নাকি ভুলে গেছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) হাটহাজারী পৌরসভার চৌমুহনী (ত্রিবেণী মোড়) এলাকার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় ‘ফুলকলি’ নামে একটি বিক্রয় কেন্দ্রে এমন দৃশ্য ধরা পড়ে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
এসময় ওই প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের (রসমালাই) কোনো উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ ছিলনা। এছাড়াও বিক্রয় কেন্দ্রটিতে গণনা করে ৩৩ বক্স রসমালাই দেখা গেলেও মেলেনি সে পরিমাণ মেয়াদের স্টিকার। এমনকি দুই কেজি ওজনের প্যাকেটের মূল্য রাখা হচ্ছে ২১ টাকা এমনটা জানালেন অভিযান পরিচালনাকারী ইউএনও।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় ফুলকলি কর্তৃপক্ষের কাছে মিষ্টি ও রসমালাইয়ের গায়ে মেয়াদের স্টিকার নেই কেন জানতে চাইলে তারা সরলভাবে উত্তর দেন স্টিকার লাগাতে ভুলে গেছেন। এছাড়া অভিযানের সময় যতগুলো রসমালাই বক্স পাওয়া গেছে সে পরিমাণ স্টিকার তারা দেখাতে পারেনি।
তাই এরকমের নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওই ইউএনও।